সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
পানি মানুষের জীবনের গুরুত্বপূণ উপাদান। পানি ছাড়া মানুষের জীবন ধারণ অসম্ভব। কেউ যদি যথেষ্ট পারিমান পানি পান করার পরও কারো বারবার তৃষ্ণা পায় , গলা শুকিয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে তিনি পানিশূন্যতায় ভূগছেন। যখন শরীর থেকে বেশি পরিমানে পানি বেরিয়ে যায়,তখন পানিশূন্যতার সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। এটা শিশু থেকে শুরু করে সবারই হতে পারে।
বিভিন্ন কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। ডায়রিয়া, বমি, জ্বর, ঘন ঘন মূত্রত্যাগ ,অতিরিক্ত ঘাম,বিভিন্ন রোগ যেমন- ডায়বেটিস, কিডনিজনিত সমস্যা কিংবা আবহাওয়া অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা হলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এটি হলে গলা শুকিয়ে যায়, অতিরিক্ত পিপাসা লাগে, প্রসারের পরিমান কমে যায়,প্রসাবের রঙ গাঢ় হয়, মাথা ঘুরে কিংবা চক্কর দেয়, শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয়, মাংসপেশীর ব্যথা, মাথা ব্যথাও হয়।
পানিশূন্যতা দূর করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলতে পারেন।
ডায়রিয়ার কারণে শরীরে পটাশিয়ামের যে ঘাটতি হয় তা পূরণ করতে সাহায্য করে কলা। এটা শরীরে পানিশূন্যতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ডায়রিয়া কিংবা অন্য কারণে পানিশূন্যতা হলে বিভিন্ন ধরনের স্যুপ খাওয়া উচিত। সবজি, মুরগীর স্যুপ পানিশূন্যতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
পানিশূন্যতা দূর করতে গ্রিন টি-ও বেশ কার্যকরী। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমানে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে। শরীরে অতিরিক্ত পানিশূন্যতা দেখা দিলে ডাবের পানি খেতে পারেন। এটা প্রাকৃতিক উপায়ে দেহে পানির ঘাটতি পূরণ করে।
আপেল, কমলা কিংবা ক্যানবেরি জুস শরীরে পানিশূন্যতা দূর করতে দারুন ভাবে সাহায্য করে। এছাড়া লেবুর শরবতও পানিশূন্যতা দূর করতে বেশ কার্যকরী।
এছাড়া পানিশূন্যতার কারণে শরীরে যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় তা পূরণ করতে সাহায্য করে দই। তাই দেহে পানির ঘাটতি দেখা দিলে দই খেতে পারেন।
এসব ছাড়া পানিশূন্যতা রোধে প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন, ঘরে তৈরি স্যালাইন খান। এছাড়া মৌসুমি ফল যেমন-তরমুজ, বেদানা, স্টবেরী এগুলোও খেতে পারেন।
সূত্র : স্টাইলক্রেজ